আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ , নভেম্বর ১৬, ২০২০

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এখন অপরাধমুক্ত জলসীমা। অথচ দেড়দশক আগেও এই এলাকার পরিচিত ছিল ডাকাতপ্রবণ হিসেবে। কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে এখন আর চুরি-ডাকাতি নেই। এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম বেড়েছে বন্দরের।

বহির্নোঙরে চোর-ডাকাতের উপদ্রব ছিলো বলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছিলো। এর পর এসব অপরাধ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য মো. জাফর আলম বলেন, গত তিন বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে কোন জাহাজে চুরি বা দস্যুতা হয়েছে এ ধরনের কোন রিপোর্ট পাইনি। এ ব্যাপারে আমাদের কোস্টগার্ড, নেভি এবং অন্যদের সহযোগিতা রয়েছে।

২০১০ সাল পরবর্তী সাত বছরে চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙরে অবস্থান করা জাহাজে ৩৬টি চুরির ঘটনা ঘটে। নজরদারি বাড়ানোর ফলে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এসে চুরির ঘটনা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই সাফল্য ধরে রাখার আহবান ব্যবসায়ী নেতাদের।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,  আগে জাহাজে যে চুরি হতো সেটা এখন শূণ্যের কোটায় চলে এসেছে। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জকে ওভারকাম করে এটাকে ধরে রাখাও অন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ।

কোস্ট গার্ড ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগে বেশকিছু চোর-ডাকাত শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম কোস্ট গার্ডের স্টাফ অফিসার লে. কমান্ডার শুভাশীষ দাশ বলেন, দক্ষিণে সোনাদিয়া এবং উত্তরে সীতাকুণ্ড সমুদ্র এলাকায় কোস্টগার্ড কর্তৃক গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। চুরির সাথে যারা জড়িত তাদেরকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

দস্যুতাপ্রবণ বন্দরের তালিকায় এখন চট্টগ্রামের নাম নেই। এ কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাবমূর্তি বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের, জানালেন বন্দর কর্মকর্তারা।##  ETV

Loading