![]() | নিউজ রুম এডিটর, নিউজ৭১অনলাইন |
ভারতে আসাম রাজ্যে একটি থানার মধ্যেই তিন নারীর ওপর ভয়ানক নিপীড়ন চালিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বাও ছিলেন। মারধরের ফলে মারা গেছে ওই নারীর গর্ভস্থ সন্তান। ওই নারীরা তিনি বোন বলে জানা গেছে।
নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে আসমের দারাং জেলায়।
জানা গেছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার। অপহরণের অভিযোগে বুরহা থানার পুলিশ তিন মুসলিম নারী-মিনুয়ারা বেগম, সানুয়ারা ও রুমেলাকে গুয়াহাটির সিক্সমাইল এলাকা থেকে ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। সম্পর্কে তারা বোন। তারপর থানার মধ্যেই পুলিশ কর্মকর্তা মহেন্দ্র শর্মা ও এক নারী কনস্টেবল অকথ্য অত্যাচার চালায় তিন বোনের ওপর। তাঁদের কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। গোপনাঙ্গে হাতও দেয় ওই কর্মকর্তা। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথিও মারা হয়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি সন্তানকে।
জানা গেছে, ১০ সেপ্টেম্বর দারাং জেলার ডিএসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মিনুয়ারা।
অভিযোগে মিনুয়ারা বলেছেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর দারাং জেলার বুরহা পুলিশ স্টেশন থেকে একাধিক পুলিশ আমাদের বাড়িতে আসে। কিন্তু কী কারণে তারা হাজির হয়েছে, প্রথমে বুঝতে পারিনি। পুলিশকে কিছু জিজ্ঞাসা করতেই তারা বলে ওঠে, কোনও কথা বলবেন না। এরপর ওই পুলিশ অফিসার আমার ও স্বামীর মাথায় বন্দুক ঠেকায়। গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর আমাদের তিন বোনকে থানায় নিয়ে আসে। এরপর থানার ভেতরে আমাদের কাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়। গোপনাঙ্গে হাত দেয়। লাথি মারে। লাঠি দিয়েও আঘাত করা হয়। আমাদের বড় ভাইয়ের খোঁজ করছিল তারা। কিন্তু বড় ভাইয়ের খোঁজ আমরা রাখি না। এরপর আমার দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা বোনের পেটে লাথি মারে ওই অফিসার। সঙ্গে সঙ্গে দিদির পেট থেকে রক্তপাত শুরু হয়। এরপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আমাদের তিন বোনকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়।'
আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এ ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। আসাম রাজ্য মহিলা কমিশনও গোটা ঘটনায় সরব হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই অফিসার ও মহিলা কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, তিন নারীর ভাই অন্য ধর্মের যুবতীকে নিয়ে পালিয়েছে। তাই অপহরণের মামলা করেছে পুলিশ। ভাইকে খুঁজে না পেয়ে তিন বোনের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ।
সূত্র : আজকাল, ডেইলি হান্ট
18.09.2019 | 02:28 PM | সর্বমোট ২৮৩ বার পঠিত
07.12.2019 | 09:17 PM
08.12.2019 | 12:54 AM
07.12.2019 | 05:48 AM
05.12.2019 | 06:49 AM
07.12.2019 | 03:11 PM